প্রয়োজনের অর্ধেক বিদ্যুৎ মিলছে হবিগঞ্জে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ২১ জুলাই ২০২২
ফাইল ছবি

হবিগঞ্জে প্রয়োজনের অর্ধেক বিদ্যুৎ মিলছে। লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ছয় ঘণ্টা করে। বিজ্ঞপ্তিতে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও অনেক সময় টানা দেড় থেকে দুই ঘণ্টা করেও লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। কখনো আবার ১০/১৫ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ এসে ফের চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।

এদিকে, রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছেন না অনেকেই। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সাইনবোর্ডে লাইট জ্বলতে দেখা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোম ও মঙ্গলবার হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) আওতাধীন শহর এলাকাগুলোতে দিনে ও রাতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হলেও এবার নতুন করে শিডিউল পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাত থেকে শহরের প্রতিটি এলাকায় ছয় ঘণ্ট করে লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

শহর ও শহরতলীর নতুন বাস টার্মিনাল, রামপুর, উমেদনগর, শ্যামলী, রাজনগর, স্টাফ কোয়ার্টার ও বাইপাস এলাকায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে।

এর মধ্যে শহরতলীর রামপুরে রাত ১-২টা, ভোর ৫-৬টা, সকাল ৮-৯টা, দুপুর ১টা-২টা, বিকেল ৫টা-৬টা, রাত ৯টা-১০টা। নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভোর ৩টা-৪টা, সকাল ৭টা-৮টা, বেলা ১১টা-দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা-৪টা, সন্ধ্যা ৭টা-৮টা, রাত ১১টা-১২টা। বাইপাস এলাকায় রাত ১টা-২টা, ভোর ৫টা-৬টা, সকাল ৮টা-৯টা, দুপুর ১টা-২টা, বিকেল ৫টা-৬টা, রাত ৯টা-১০টা। রাজনগরে রাত ১২টা-১টা, ভোর ৪টা-৫টা, সকাল ৯টা-১০টা, দুপুর ১২টা-১টা, বিকেল ৪টা-৫টা, রাত ৮টা-৯টা। শ্যামলী এলাকায় রাত ২টা-৩টা, ভোর ৬টা-৭টা, সকাল ১০টা-১১টা, দুপুর ২টা-৩টা, বিকেল ৬টা-৭টা, রাত ১০টা-১১টা, স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় রাত ১টা-২টা, ভোর ৫টা-৬টা, সকাল ৮টা-৯টা, দুপুর ১টা-২টা, বিকেল ৫টা-৬টা, রাত ৯টা-১০টা। উমেদনগরে রাত ৩টা-৪টা, সকাল ৭টা-৮টা, বেলা ১১টা-দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা-৪টা, সন্ধ্যা ৭টা-৮টা, রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না।

তবে শুক্রবার (২২ জুলাই) নতুন শিডিউলে লোডশেডিং করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার বলেন, হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় সাড়ে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু মিলছে মাত্র আট মেগাওয়াট। এর মধ্যে আরও দুই মেগাওয়াট কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আট মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখা কঠিন।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে সিদ্ধান্ত দেয় জাতীয় গ্রিড থেকে। আমরা শুধু বাস্তবায়ন করি।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।