প্রেম ভেঙে যাওয়ার ক্ষোভে শিশুকে গলা টিপে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২

হবিগঞ্জের মাধবপুরে লিজা আক্তার নামের এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি তাকবির হাসান (২০)। তিনি জানিয়েছেন, প্রেমিকার সঙ্গে তাকে দেখে ফেলায় শিশুটিকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।

রোববার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমু সরকারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তাকবির হাসান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওসি আব্দুল আহাদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাকবিরের সঙ্গে একই গ্রামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক চলাকালীন একদিন সন্ধ্যায় তারা দেখা করতে গেলে নিহত শিশু লিজা আক্তার (৯) তাদের দেখে ফেলে। সে ঘটনাটি তার মাকে জানিয়ে দেয়। এরপর থেকে মেয়েটির সঙ্গে তাকবিরের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ২১ জুলাই শিশু লিজাকে গলা টিপে হত্যা করেন তাকবির। পরে তার মরদেহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখে আত্মগোপনে চলে যান। মরদেহ উদ্ধারের পর লিজার বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

নিহত শিশু লিজা আক্তারের বাড়ি মাধবপুর উপজেলার আইলাবই গ্রামে। আসামি তাকবির ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, শিশু লিজা আক্তার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের পাঁচ মাস পর শনিবার (২৩ জুলাই) প্রধান আসামি তাকবির হাসানকে খুলনার খালিসপুর থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তিনি ঘটনার পর খুলনায় পালিয়ে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে কাজ নেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।