বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে ২ সেতুর সংযোগসড়ক সংস্কার কাজ
মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই দুটি সেতুর সংযোগসড়কে চলছে সংস্কার কাজ। এরই মধ্যে সড়কের একপাশ থেকে পাকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এরপরও খুঁটি দুটি না সরানোয় সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা। খরচ বাবদ টাকা দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি থেকে চিঠি পেলেই খুঁটি সরানোর কাজ করবে বলে জানিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম লালু জাগো নিউজকে বলেন, ‘গোপালপুর-জগাইরহাট সড়কের কেওতা সেতুর উত্তর পাড়ের ঢালে একটি ও জগাইর হাট এলাকার সেতুর পূর্ব পাড়ের ঢালে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। খুঁটি দুটি সাত-আট বছর আগে বসানো হয়। তখন সেতু দুটি ও রাস্তা সরু থাকায় খুঁটি রাস্তার পাশে ছিল। বর্তমানে চওড়া করে নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে এবং রাস্তাও চওড়া করে নির্মাণ করা হয়েছে। তাই খুঁটি দুটি রাস্তার মধ্যস্থানে পড়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে সড়কের একপাশে পাকাকরণ শুরু হয়েছে। পাকাকরণের কাজ করার আগে খুঁটি দুটি সরানো না হলে যান চলাচলে ঘটবে দুর্ঘটনা। এছাড়া সড়ক পাকা করার পর খুঁটি সরালে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা পল্লীবিদ্যুতের এজিএম মধুসূদন রায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘বহু আগের বিদ্যুতের খুঁটিগুলো রাস্তার পাশেই ছিল। কিন্তু নতুন রাস্তা ও সেতু বড় করায় খুঁটি দুটি রাস্তার মাঝে পড়ে গেছে। খুঁটিগুলো সরাতে যে খরচ হবে তা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) বহন করতে হবে। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কাছে চিঠি দিলেই খুঁটি দুটি সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি প্রকোৗশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘খুঁটি দুটি সরাতে ঠিকাদারসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক মিলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। সেই খরচ কে দিবে। এ কারণে পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি সরাচ্ছে না। এরই মধ্যে রাস্তার ঠিকাদার উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছিল। সে চিঠিতে কাজ হবে না। আমাকে চিঠি দিতে বলেছে এজিএম মধুসূদন রায়। আমি তাকে শিগগির চিঠি দিবো। অল্প সময়েই সমস্যাটি সমাধান হবে।’
আতিকুর রহমান/এসজে/জিকেএস