‘ঢাকা যামু হাইট্টা’ বর্ধিত লঞ্চভাড়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রী
‘আগে সিঙ্গেল কেবিন ছিল ১৬৮০ টাকা। ডাবল কেবিন ৩৩৬০ টাকা। এখন সেই সিঙ্গেল কেবিন করেছে ২৭৮০ টাহা। আর ডাবল করেছে ৫৫৬০ টাকা। এডা (এটা) কোনো কতা (কথা)? এত কিছু বাদ দিয়ে এখন ঢাকা যামু হাইট্টা (হেঁটে)।’
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহরের সবুজবাগ এলাকায় চায়ের দোকানে লঞ্চের বর্ধিত ভাড়া নিয়ে আলাপ-আলোচনায় এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইকবাল করিম।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মানুষ কিছুটা গাড়িতে চলাচল শুরু করায় লঞ্চগুলো ভাড়া কিছুটা কমায়। সবশেষ সিঙ্গেল কেবিন ১৫০০ টাকা এবং ডাবল কেবিন ২৮০০ টাকা করে ভাড়া নিতো। এখন আবার বাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী সই করা নতুন ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা কর্তৃক ১৬ আগস্ট তারিখে প্রজ্ঞাপনের আলোকে নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রতি ১০০ কিলোমিটারের জন্য সর্বোচ্চ যাত্রী ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ টাকা এবং ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ৬০ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
জালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নৌ রুটগুলোতে এই লঞ্চ ভাড়া বাড়ানোর পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে ডেক ও কেবিনে যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা দিয়ে বিমানেই চলাচল করা সম্ভব বলছেন অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বরিশাল থেকে ঢাকায় চলাচলকারী বিমান ভাড়া ইউএস বাংলায় ৩৫০০ টাকা এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ৩০০০ টাকা। অথচ নতুন তালিকায় পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটে সিঙ্গেল কেবিন ২৭৮০ টাকা এবং ডাবল কেবিন ৫৫৬০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ২৫২ কিলোমিটারের এই নৌপথে ডেকের ভাড়া ৬৯৫ টাকা।
এদিকে সোমবার (১৫ আগস্ট) থেকে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটে আবারও রোটেশন প্রথা চালু করেছে লঞ্চ মালিক সমিতি। আগে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি লঞ্চ চলাচল করলেও এখন পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটে দুটি করে লঞ্চ চলাচল করছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর