ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৮ লাখ টাকা গায়েব!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২২
ভুক্তভোগী সাবেক স্টেশন অফিসার এস এম তবিবর রহমান

চাকরিজীবন শেষে ২০২০ সালের ১ আগস্ট অবসরে যান নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সাবেক স্টেশন অফিসার এস এম তবিবর রহমান। তবে তিন বছরেও পাননি প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা আট লাখ টাকা।

টাকাগুলো নড়াইলের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মো. শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা গায়েব করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। চাকরিজীবনের সঞ্চিত ওই টাকা পেতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তবিবর রহমান। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) তিনি এ অভিযোগ করেন।

তবিবর রহমান নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বাকা গ্রামের মৃত মো. ইমান উদ্দিন শিকদারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাকরির মেয়াদ শেষে ২০২০ সালের ১ আগস্ট অবসর নেন তবিবর রহমান। পরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা সাত লাখ ৯৫ হাজার টাকা পেতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। নড়াইল জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার হিসাব চূড়ান্ত করেন। পরে ২০২০ সালের ৯ মার্চ ওই টাকা তুলতে প্রত্যয়নপত্র দেন। প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করেন উপ-সহকারী পরিচালক শামিমুল ইসলাম। পরে ওই বছরের ১১ মার্চ শামিমুল ইসলাম সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখায় তার নিজের হিসাব নম্বরে ওই টাকা জমা করেন।

পরে শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলায় বদলি হয়ে যান। তবিবর রহমানের অভিযোগ, ওই টাকা গায়েব করে দিয়েছেন শামিমুল ইসলাম। ওই টাকা পেতে তিন বছর ধরে নড়াইল ফায়ার স্টেশনে ধরনা দিতে দিতে নিজেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৮ লাখ টাকা গায়েব!

তবিবর রহমান বলেন, ‘প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা দিনের পরদিন আমাকে ঘুরাতে থাকেন। এরপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহে বদলি হয়ে যান। তারপর আমি নড়াইল অফিস থেকে গত তিন বছরেও কোনো সুরাহা পাইনি। বর্তমানে আমি শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি কিন্তু জীবনের সঞ্চিত টাকা পাচ্ছি না।’

নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘তবিবর রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে অতিসম্প্রতি ঘটনাটি জানতে পেরে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি ওই টাকা নড়াইল অফিসের অফিস সহায়ক নাহিদ হোসেন তার সই জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় নাহিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

জানতে চাইলে অফিস সহায়ক নাহিদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘তবিবর রহমানের পাওনা টাকার বিষয়ে একাধিকবার অফিসে বসা হয়েছে। তবে আমি কোনো জালিয়াতি করিনি।’

নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘তবিবর রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পাওয়ার বিষয়ে মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ করার বিষয়টি জেনেছি। মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাফিজুল নিলু/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।