করমজলে প্রথমবারের মতো কুমিরের ডিমে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় লবণপানি প্রজাতির কুমির পিলপিলের দেওয়া ডিম থেকে ৩৮ বাচ্চা ফুটেছে। এবারই প্রথম করমজলে কুমিরের ডিমে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সময়ে ডিমের খোলস ভেঙে জন্ম নেয় বাচ্চাগুলো।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, গত ১ জুন প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরপাড়ে ৩৮টি ডিম দেয় কুমির পিলপিল। এরপর ডিমগুলো সংগ্রহ করে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। ইনকিউবেটরে থাকার দীর্ঘ ৮৩ দিনের মাথায় সোমবার ৩৮টি ডিম থেকেই ৩৮টি বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। এ বাচ্চাগুলো প্রজনন কেন্দ্রের নির্দিষ্ট প্যানে রাখা হয়েছে।
এবারই প্রথম করমজলে কুমিরের ডিমে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে। এরআগে ২০০০ সালে পিলপিলের দেওয়া ৪৬টি ডিমের মধ্য থেকে মাত্র চারটি বাচ্চা ফুটেছিল। আর ২০২১ সালে কোনো ডিমই দেইনি পিলপিল।

আগের ছোট-বড় ৯১টি আর সোমবারের নতুন ৩৮টি বাচ্চা নিয়ে এ প্রজনন কেন্দ্রে মোট কুমিরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৯টিতে। আর পিলপিল এবার দিয়ে ১১ বার ডিম দিয়েছে।
বন কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘এবারই প্রথম কুমিরের ডিমে শতভাগ বাচ্চা ফুটেছে। কারণ এর আগে এনালগ পদ্ধতিতে ডিম সংরক্ষণ করা হতো। কিন্তু চলতি বছর ডিজিটাল ইনকিউবেটরে ডিম সংরক্ষণ করায় ৩৮টি ডিমে ৩৮টিই বাচ্চা ফুটেছে।’

২০০০ সালে করমজলে আট একর জমির ওপর কুমির প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলে বনবিভাগ। মূলত বিলুপ্তপ্রায় লবণপানি প্রজাতির এ কুমিরের সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশ বিস্তারের লক্ষ্যেই কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছিল। তখন রেমিও ও জুলিয়েট দিয়ে শুরু হয়েছিল এ প্রজনন কেন্দ্রের প্রথম কার্যক্রম।
বর্তমানে রোমিও ও জুলিয়েট বয়স্ক এবং দুর্বল হয়ে পড়ায় ডিম দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে তাদের। এখন একমাত্র পিলপিলই রয়েছে ডিম দেওয়ার মতো।
এসআর/এএসএম