প্রথমদিনই ‘লেট’ মোংলার সরকারি কর্মকর্তাদের
সরকারি সিদ্ধান্তের প্রথম দিনই নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারেননি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে গিয়েও দেখা মেলেনি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলীমুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেনের।
তবে যথা সময়ে এসেছেন উপজেলা মৎস্য, মহিলা বিষয়ক, হিসাবরক্ষক, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এ নিয়ে অফিস সহকারী কেউ বলছেন, প্রথমদিন হওয়ায় স্যারের একটু দেরি হচ্ছে। আবার কেউ বলেছেন, স্যার ভিজিটে গেছেন।

কর্মস্থলে সময় মতো উপস্থিত হতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি সকালে অফিসে যাইনি, বাসা থেকে বের হয়ে সাইড ভিজিটে আছি। আধা ঘণ্টা আগে আমি সোনাইলতলা ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজ তদারকিতে এসেছি।’
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আসেননি সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। যদিও নিয়ম অনুযায়ী ৮টা থেকেই তার ডিউটি রয়েছে হাসপাতালের আউটডোরে। সিডিউল মোতাবেক আউটডোরের আরেক চিকিৎসকের কক্ষও খালি, তিনিও আসেননি সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। তবে ইমারজেন্সি বিভাগে সময় মতোই এসেছেন সিডিউলের চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং মেডিকেল কর্মকর্তা অফিসে এসেছেন সাড়ে ৯টায়।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়সাল ইসলাম স্বর্ন জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালের ১৭ জন চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র পাঁচ/ছয়জনে চালিয়ে নিচ্ছি। আমি ভারপ্রাপ্ত টিএইচওর দায়িত্বও পালন করছি। ফিল্ড ভিজিট ও রোস্টার সিডিউল অনুযায়ী ডিউটিও করতে হচ্ছে। এরপরও পার্সোনাল সমস্যা তো থাকতেই পারে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমি ব্যাপারটি শুনবো এবং দেখি কী করা যায়।
এসজে/এএসএম