রাঙ্গামাটিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে বদলি
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক সিভিল উড বিভাগের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর এজাবুর আলমকে (৩৫) ভোলা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পিআইডব্লিউ পরিচালক প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদিন স্বাক্ষরিত এক স্মারকের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ইনস্টিটিউটের সিভিল উড বিভাগের এক ছাত্রী ওই শিক্ষক কু-প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘মো. এজাবুর আলম এ প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক। তিনি গত দুই মাস ধরে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক মেসেঞ্জারে তার ‘এজাবুর আলম’ আইডি থেকে ‘পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেবেন’, ‘পরীক্ষায় পাসের ব্যবস্থা করে দেবেন’ ও ‘হোস্টেলে রুমের ব্যবস্থা করে দেবেন’ বলে নানা কুরুচিপূর্ণ অশালীন কথাবার্তা বলেন। তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছেন। আমি তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হেনস্তা করার জন্য রীতিমতো হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরে একেএকে উঠে আছে এ শিক্ষকের দ্বারা বিগত সময়ের সব যৌন হয়রানীর শিকার হওয়া আরও শিক্ষার্থীদের কথা। পরে এ নিয়ে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে টানা আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর ৮ সেপ্টেম্বর কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বদলি আদেশ আসে।
এর আগে ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থীর অভিযোগ পেয়ে এ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুল মতিন ৩১ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে ৩১ আগস্ট হতে ছাত্র হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বদলির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুল মতিন জানান, আমরা তদন্ত রিপোর্ট ৬ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি যার পরিপেক্ষিতে অধিদপ্তর এ বদলি আদেশ দিয়েছেন। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারবেন না মন্তব্য করে জানান, তদন্ত করে পাঠিয়েছি তার অপরাধের সত্যতা কতটুকু তা সময় সাপেক্ষ আর অধিদপ্তর দেখবে, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
সাইফুল উদ্দীন/আরএইচ/জেআইএম