২০ দিন ধরে সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ঝুলছে তালা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুকের কক্ষে ঝুলছে তালা

নাটোর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুকের কক্ষে ২০ দিন ধরে ঝুলছে তালা। দিনের পর দিন নানা কাজে এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে সেবা গ্রহীতা ও ঠিকাদারদের। এছাড়া জেলায় চলমান উন্নয়নমূলক কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুকের অভিযোগ, ‘জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সাইদুল ইসলামের চাহিদা মতো উৎকোচ দিতে না পারায় তিনিই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৮ আগস্ট অফিসে গিয়ে দেখি আমার কক্ষে তালা ঝুলছে। খবর নিয়ে জানতে পারি ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম নিজেই এ তালা লাগিয়েছেন। অনেক অনুনয় বিনয় করেও চাবি পাইনি। ২০ দিন ধরে নিয়মিত পরিষদে এলেও নিজের কক্ষে প্রবেশ করতে পারিনি। যার কারণে কোনো কাজও করতে পারছি না।’

ওমর ফারুকে আরও বলেন, ‘কাগজপত্র না পাওয়ায় আমার দায়িত্বে থাকা চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলোও তদারকি করতে পারছি না। আমার বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।’

ঠিকাদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক কোনো অন্যায় অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা তার ঊর্ধ্বতনদের কাছে অভিযোগ করা যেতে পারে। কিন্তু তার সরকারি দপ্তরে ২০ দিন ধরে তালা মেরে রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসে আগত একাধিক সেবা গ্রহীতা, ঠিকাদার ও কর্মরতরা জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের পাশ কাটিয়ে অফিসের ইলেক্ট্রিশিয়ান, একজন হিসাব রক্ষক ও অফিস সহকারীদের পরামর্শে যা ইচ্ছে তাই করছেন। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না। একটি সরকারি দপ্তর এভাবে চলতে পারে না। সহকারী প্রকৌশলীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও তারা জানান। সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মদ পানের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি সুযোগ পেলে অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন তাই জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আমি সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে তালা ঝুলাইনি।’

সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক কয়েকদিন থেকে নিয়মিত অফিসে আসছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

নাটোর জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান জাগো নিউজকে বলেন, তালা লাগানোর ব্যাপারে কিছুই জানি না। কোনো সরকারি দপ্তরে তালা লাগিয়ে দেওয়ার পরামর্শ বা হুকুম কোনো ক্রমেই দিতে পারি না।

রেজাউল করিম রেজা/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।