কন্যা দিবসে দিনাজপুরে একসঙ্গে তিন কন্যার জন্ম
দিনাজপুরে একসঙ্গে তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ওই নবজাতকদের জন্ম হয়।
সন্তানদের বাবা-মা চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ নগন এলাকার মনিরুজ্জামান-আফসানা মিমি দম্পতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে মনিরুজ্জামান ও মিমির বিয়ে হয়। মনিরুজ্জামান পেশায় একজন সেলসম্যান। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি ছেলে সন্তান মায়ের গর্ভেই মারা যায়। এরপর একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তানের জন্মের দিলেন ওই গৃহবধূ।
মনিরুজ্জামান বলেন, বিয়ের এক বছর পরে ছেলে সন্তান তার মায়ের পেটেই মারা যায়। এর পর আল্লাহ আমাকে একসঙ্গে তিনটি কন্যাসন্তান দিয়েছেন। এতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা খুবই খুশি। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা সুস্থ আছে।
নবজাতকদের বাবা আরও বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে মিমিকে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রসূতির ঝুঁকির বিষয়টি চিকিৎসকরা আমাদের জানান। আমরা সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার সকালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে আমার তিন কন্যা জন্মগ্রহণ করে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স আফরোজা আক্তার বলেন, প্রসূতির ডেলিভারির সময় ছিল ২৬ নভেম্বর। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আগেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিন নবজাতকের সবার ওজন পাওয়া গেছে দেড় কেজি করে। মা ও সন্তানরা ভালো আছে। নবজাতকদের ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে।
নবজাতকদের দাদি মরিয়ম বেগম বলেন, আমার পাঁচ ছেলে। কোনো মেয়ে নেই। তাই একসঙ্গে তিন নাতনি পেয়ে আমি অনেক খুশি।
নবজাতকদের নানা আইয়ুব আলী বলেন, জামাই ছোট চাকরি করে। আল্লাহ তাকে এক সঙ্গে তিন মেয়ে দিয়েছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন সন্তানগুলো সুস্থ থাকে।
নবজাতকদের মা আফসানা মিমি বলেন, আমার প্রথম সন্তান মারা গেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে তিনটি কন্যা সন্তান দিয়েছে। আমি খুব খুশি। দোয়া করবেন যেন আমার সন্তানরা সুস্থ থাকে।
এমদাদুল হক মিলন/এমআরআর/এমএস