উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সীমান্তবাসীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২২

মিয়ানমারের গুলির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার যারা সীমান্ত ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে তাদের সবার মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (২১ অক্টোবর) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ও দোছড়ি ইউপির ভাল্লুক খাইয়া, চাকঢালা, বাহিরমাঠ এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবার প্রচণ্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় মিয়ানমারের গুলি দোছড়ি এলাকার বাহিরমাঠ এলাকায় এসে পড়ে। এতে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নিয়েছিলেন সীমান্তবাসীরা।

jagonews24

তবে রাতে কিছু সময় বন্ধ থাকার পর রোববার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চাকঢালা এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গুলির শব্দ শোনা গেছে। এরপর আর কোনো শব্দ শোনা যায়নি। ফলে যারা এলাকা ছেড়ে নিরাপদের আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইমরান বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আবারও গুলির শব্দ শোনা গেছে। শনিবারের ঘটনায় ইতিমধ্যে সীমান্তে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা অনেকেই নিকট আত্মীয়ের বাসায় চলে যায়। রোববার কয়েকটি পরিবার নিজ বাড়ি ফিরছেন বলে স্থানীরা জানিয়েছেন।

jagonews24

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবচার জাগো নিউজকে জানান, শনিবারের ঘটনায় সীমান্ত থেকে চলে আসা ১২ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুর রহিমের বাড়িতে। রোববার সকালে কিছু পরিবার তাদের বাড়িতে ফিরে গেছে।

jagonews24

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস জানান, এরই মধ্যে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া কিছু পরিবার তাদের বাড়িতে ফিরেছেন বলে শুনেছি। পরিস্থিতি অবনতি হলে সীমান্তে বসবাসকারীদের আবারও সরিয়ে নেওয়া হবে।

নয়ন চক্রবর্তী/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।