যশোর ট্রাফিক অফিসের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন


প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

যশোরে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীর মোটরসাইকেল আটকের পর `কাগজপত্রবিহীন` দাবি করে মামলা করেছে পুলিশ। আর মামলার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ট্রাফিক পুলিশ অফিসের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

শনিবার সকালে যশোরে ট্রাফিক পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দুই বিভাগের মধ্যেই ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সকালে শহরের দড়াটানায় অবস্থান নিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা করেছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জহুরুল হক। এসময় তিনি ওয়েস্ট পাওয়ার জোন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ বিভাগের দুই লাইনম্যান সুমন ও নাসিরকে দাঁড় করানো হয়। এসময় তারা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের নামে মামলা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জহুরুল হক বলেন, তারা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী তা পরিচয় দেয়নি। অভিযানের সময় অন্যদের মতো তাদের কাছেও কাগজপত্র দেখতে এবং হেলমেট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তারা ভাব নিয়ে বলেন, আমাদের কাগজপত্র লাগে না। এরপর তাদের মোটরসাইকেলের বিপরীতে মামলা দেয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, মোটরসাইকেলটি বিদ্যুৎ বিভাগের কিনা তা লেখা ছিলো না। তারপরও তারা যদি পরিচয় দিতেন, তাহলে মামলা দিতাম না। কিন্তু এ ঘটনার জের ধরে তারা বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে, এ কেমন কথা !

ওজোপাডিকোর লাইনম্যান আলতাফ হোসেন জানান, সুমন ও নাসির নামে তাদের দুই লাইনম্যানকে দড়াটানায় থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশ অযথা মামলা দিয়েছে। গাড়ির কাগজপত্র ছিলো। কিন্তু হেলমেট ব্যবহার না করার অভিযোগে এ মামলা দেয়া হয়েছে। আর এরপর অন্য কর্মীরা ট্রাফিক পুলিশ অফিসের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, শুধু ট্রাফিক অফিসে না কোতোয়ালি থানায়ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। সেখানেও অভিযান চালানো হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন যদি হেলমেট ছাড়া রাস্তায় চলতে গিয়ে মামলা খায়। তবে পুলিশ কেন অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে!

এদিকে, ট্রাফিক পুলিশ অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটতে দেখা গেছে। তবে এসব অসুবিধা ও অবৈধ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করেন যশোর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ওলিউজ্জামান।

তিনি বলেন, ট্রাফিক অফিসের পিছনে পুলিশ ক্লাবের কাজ হচ্ছে। তাই সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে আমাদের অফিসের লাইনও ভুলবশত কেটে গেছে।

মিলন রহমান/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।