বছর না যেতেই ‘টেকসই’ বাঁধে ধস

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২২

বছর না ঘুরতেই মাদারীপুরে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের পাশে নির্মিত টেকসই বাঁধে ধস নেমেছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল থেকে ডাসার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়। একই সময় সড়কটি টেকসই করতে সড়কের খালের পাশে ব্লক ও ইট-বালু-সিমেন্টের মিশ্রণে সাড়ে ছয় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছরের জুন মাসে।

বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমডি মাহফুজ খান লিমিটেড কাজটি পায়। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সামান্য বৃষ্টিতেই বাঁধে ধসে নেমেছে। বালু সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় হাঁটাচলায় বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা।

মন্টারপুল এলাকার রেজাউল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বছর না ঘুরতেই সড়কের পাশের টেকসই বাঁধ ধসে পড়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’

স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন, শহিদুল মৃধা, তপনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বাঁধের মূলকাজ রাতের আঁধারে করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিয়েছিলেন। তারপরও তারা কাজ করেছেন। কাজে নিয়ম হওয়ায় এখন বাঁধে ধস নেমেছে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

ঠিকাদার মাহফুজ খান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করে দেবো।

তিনি আরও বলেন, নিম্নমানের কোনো সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। যারা এ অভিযোগ করছেন, তারা সঠিক বলছেন না।

মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেন, ইটেরপুল-পাথুরিয়ারপাড়-ঘোষেরহাট-ডাসার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোটবড় কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই সড়ক সংস্কার ও বাঁধ নির্মাণে খরচ করা হয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এটি যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু মেরামত করে দিতে বলা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগেই এমনটা হয়েছে, এখানে ঠিকাদারের কোনো দোষ নেই।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।