সাতক্ষীরার সরকারি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ অপারেশন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২২

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের গৃহবধূ রেবেকা বেগম (২৬)। স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের জন্য এসেছিলেন শহরের সরকারি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। তবে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় সেখানে সন্তান জন্ম দিতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হয়।

শুধু রেবেকা নয়, তার মতো প্রতিদিন সাতক্ষীরার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এসে ফিরে যাচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা।

স্বাভাবিক সন্তান জন্মদানের সময় কোনো জটিলতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে গর্ভবতী মায়ের সিজারিয়ান অপারেশন করা না হলে মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি থাকে। এজন্য সিজারিয়ান অপারেশনের সুযোগ না থাকায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে সাহস পাচ্ছেন না অনেকে।

সাতক্ষীরার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক মুজিবুর রহমান অবসর নেন। তখন থেকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে অ্যানেস্থেসিয়া পদটি শূন্য রয়েছে। ১০ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সবধরনের সিজারিয়ান অপারেশন।

শুধু তাই নয়, ২০১৯ সাল থেকে ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটরের পদটি শূন্য থাকায় মা ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

সাতক্ষীরার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) ডা. লিপিকা বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় বর্তমানে এখানে সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে না। বিষয়টি আমরা ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা দ্রুত এখানে একজন অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক দেবেন বলে জানিয়েছেন।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক দীপক চন্দ্র সাহা জাগো নিউজকে বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে আমি ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।