মুন্সিগঞ্জে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আতঙ্কে স্কুলের পাঠদান বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২২

মুন্সিগঞ্জ সদরে চরঝপটা এলাকায় আধিপত্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় দক্ষিণ চরমশুরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে ছুটি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) ওই বিদ্যালয়ে মাত্র একটি ক্লাস হয়েছে। এরপর আতঙ্কে পরবর্তী পাঠদান বন্ধ করে ছুটি দেওয়া হয়।

এরআগে রোববার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের চরঝাপটা গ্রামে বিবাদমান দুটি পক্ষ মন্টু দেওয়ান গ্রুপের সঙ্গে জিন্নত মিজি ও নাজমুল প্রধান গ্রুপের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, ৪০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

jagonews24

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্টু দেওয়ানের সঙ্গে জিন্নত মিজি ও নাজমুল প্রধান গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। উভয় পক্ষই আওয়ামী লীগের সমর্থক। রোববার রাত ৯টার দিকে মন্টু দেওয়ান ও তার পক্ষের নান্নু হাজী, দ্বীন ইসলাম ও ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ জিন্নত মিজি ও নাজমুল প্রধান গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা করে লুটপাট চালানো হয়। এ সময় দফায় দফায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও প্রায় ৪০টি বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

হামলার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। আহত হন উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন।

এ ঘটনার পর থেকে গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকালেও এলাতায় অবিস্ফোরিত ককটেল ঘটনাস্থলে পরে থাকে বলে জানান এলাকাবাসী।

এদিকে সোমবার সকালে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় আতঙ্কে পাঠদান না করে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে দুপক্ষের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

jagonews24

স্কুল ছুটি দেওয়ার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাখন লাল তালুকদার বলেন, সকালে সব শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে আসে। তবে দুপক্ষের সংঘর্ষের কারণে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি ছিল। অনেক কম শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। ১১টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন এসে জানান, আবারও ঝামেলা হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা যাতে বাসায় পৌঁছাতে পারে সেজন্য পাঠদান বন্ধ করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এরআগেও এভাবে বিদ্যালয় বন্ধ করতে হয়েছে। এ বিষয় যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামীতেও পাঠদান ব্যাহত হবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরপরই রাতেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কোনো পক্ষ থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।