ঠাকুরগাঁও

শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার, দাম চড়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২২

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারগুলো শীতের সবজিতে ভরে উঠছে। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। স্থানীয় একেকটি বাজারে দিনে প্রায় কোটি টাকার সবজি বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

Bazar-(8).jpg

ঠাকুরগাঁওয়ে মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, টমেটো, মুলাসহ হরেক রকম সবজি। অধিক লাভের আশায় কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও ভালো।

গতবছর এই সময় স্থানীয় বাজারে এক বা দুটি ট্রাকে সবজি বোঝাই করা হতো। এবার সে চিত্র বদলেছে। দিনে অন্তত ২০-২৫টি ট্রাকে সবজি বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রকারভেদে প্রতি ট্রাক সবজির মূল্য প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।

Bazar-(1).jpg

কৃষক আবু হেনা জাগো নিউজকে বলেন, এবার দেড় বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছি। প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করছি। আশা করছি মৌসুম শেষে দেড় বিঘার বেগুনে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হবে।

সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া গ্রামের সাদেকুল ইসলাম চাষ করেছেন বিভিন্ন প্রকার সবজি। এর মধ্যে পালংশাক তুলে বাজারজাত করছেন তিনি।

সাদেকুল বলেন, সাত কাঠা জমিতে পালংশাক করেছি। খরচ হয়েছে তিন হাজার টাকা। তিন কাঠা জমির শাক কেটে সাড়ে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বাকি যে শাক আছে তা বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।

Bazar-(1).jpg

কৃষকদের কাছে পাইকারি দরে ভালোমানের ফুলকপি ৩৫ টাকা, করলা ৪০, বেগুন ২২-২৫, লাউ প্রতি পিস ২৪, মুলা ৭-৮ টাকা কেজি দরে কিনছেন জানান সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন।

তবে এবার মুলা চাষ করে খরচের তুলনায় দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা। এ বিষয়ে চাষি মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এবার ফুলকপি, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম অনেক ভালো। তবে মুলার দাম নেই। শ্রমিক দিয়ে জমি থেকে মুলা তুলে বিক্রি করে মজুরির দামই উঠছে না।

Bazar-(1).jpg

খুচরা বাজারে সবজির অনেক দাম। সেই তুলনায় কৃষক পর্যায়ে তারা ন্যায্য ও কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন কৃষক মনির।

তিনি বলেন, এবার আমাদের এদিকে প্রচুর সবজির আবাদ হয়েছে, ফলনও ভালো। কিন্তু আমরা চাষিরা সেরকম দাম পাচ্ছি না।

Bazar-(1).jpg

কৃষক মনির বলেন, বর্তমান বাজার অনুযায়ী খরচ ও ফলনের দাম সমান সমান হয়ে যাচ্ছে। তাই দামটা যদি আরেকটু বেশি হতো তাহলে কৃষকরা লাভবান হতে পারতেন।

জানতে চাইলে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ভালো দাম পাচ্ছেন বলে কৃষকরা আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন। আশা করি আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

Bazar-(1).jpg

ঠাকুরগাঁওয়ে এবার সাত হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে এক হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে।

তানভীর হাসান তানু/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।