প্রধানমন্ত্রীর জনসভা
মিছিলের নগরী কক্সবাজার

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এক দিনের সফরে আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটায় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন তিনি।
সকাল থেকে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়কে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা। যেন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার পৌর শহর।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে চকরিয়ার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জেসমিন আক্তার জেসি ও সংসদ সদস্য জাফর আলমের মেয়ে জেলা পরিষদ সদস্য তানিয়া আফরিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নারী মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন।
এদের সঙ্গে আইনজীবী নেতা আ জ ম মাইনুদ্দীনের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে আসেন বিপুল সংখ্যক আইনজীবীরা। পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। তাদের স্লোগানে-স্লোগানে মুখর রাজপথ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বসাধারণের জন্য জনসভাস্থল সকাল ৯টার পর খুলে দেওয়া হয়েছে। শুরুর দিকে লোকজন না এলেও, ১০টার পর থেকেই লাবণী পয়েন্ট শেখ কামাল স্টেডিয়ামের মাঠে প্রবেশের মূল গেটে মিছিল সহকারে নেতাকর্মী এসে জটলা করেন। একেক নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে পরিধান করেছেন নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, মহেশখালী দ্বীপ, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে হাজারো মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এবং তার ভাষণ শুনতে মঙ্গলবার বিকেল ও রাতে কক্সবাজার চলে এসেছেন। আশপাশের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সকাল থেকে আসতে শুরু করেছেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যম হিসেবে এবারের জনসভায় সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটাতে আওয়ামী লীগ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পৌর শহরের সড়কগুলোতে আছে নিরাপত্তাকর্মীদের অবস্থান।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়। যেখানে দায়িত্বপালন করছেন চার হাজারের বেশি পুলিশ। কক্সবাজারসহ আশপাশের চারটি জেলা থেকে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের জন্য কক্সবাজারে আনা হয়েছে।’
সায়ীদ আলমগীর/এসজে/জেআইএম