পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

পঞ্চগড়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ এর মধ্যে উঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রাও কমেছে, বাড়ছে শীতের প্রকোপ। দুইদিন ধরে ঘনকুয়াশায় ঢেকে আছে এলাকা। কনকনে শীতে দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে ভোর থেকে মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের বেশি দুর্ভোগে পরতে হয়।

সপ্তাহজুড়ে দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) ২৬ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘন কুয়াশায় দেখা গেছে। শীতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত উত্তরের এ জেলায় কুয়াশার সঙ্গেই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে শুরু হয় কুয়াশা। রাতভর বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝড়ে। পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকে পুরো এলাকা। দিনের আলোতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

jagonews24

উপজেলা সদরের মলানী পাড়া এলাকার কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে বাতাস আর কুয়াশা শুরু হয়। সকালে ক্ষেতে কাজ করতে অসুবিধা হয়। তবে সকাল ১০টার পর থেকে রোদের কারণে শীত কেটে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে শীত আরও বাড়বে। শীতে আমাদের খুব কষ্ট হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় ১৫ দিন থেকে তাপমাত্রা ১১ এবং ১২ এর মধ্যেই উঠানামা করছে। ধীরে ধীরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমছে। বুধবার দিনে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগামী সপ্তাহের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নেমে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, দুইদিন ধরে ঘনকুয়াশা আর কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এ সময় ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ দেখা দেয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। আমি সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের দুঃস্থ ও শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি।

 

সফিকুল আলম/জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।