ফেসবুকে প্রেম, কক্সবাজারের তরুণকে বিয়ে করলেন থাই নারী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসে ঘর বেঁধেছেন থাইল্যান্ডের এক তরুণী। গত ৭ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে ধর্মত্যাগ করে প্রেমিক ওসমান গণি রাজকে বিয়ে করেন তানিদা নামের ওই তরণী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম রাখেন ‘খাদিজাতুল কোবরা’।

বর ওসমান গণি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে। গত ১২ ডিসেম্বর ওই বাড়িতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই আছেন খাদিজা।

পরিবার সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে ফেসবুকে ওসমান গণি রাজের (২৫) সঙ্গে পরিচয় হয় থাইল্যান্ডের তরুণী তানিদার (৩৫)। মেসেঞ্জারে ভাবের আদান-প্রদান করতেন তারা। এভাবে বছর পার হতেই তাদের পরিচয় গড়ায় প্রেমে। এ সূত্রে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মহেশখালী রাজের বাড়ি আসেন তানিদা। কিছুদিন অবস্থানের পর আবার ফিরে যায় দেশে।

গত এপ্রিলে আবারও আসেন মহেশখালী। এরপর সবশেষ ৭ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড থেকে কক্সবাজার আসেন তানিদা। এবার আর অপেক্ষা নয়, ধর্মত্যাগ করে ওসমান গণিকে বিয়ে করেন তানিদা। নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘খাদিজাতুল কোবরা’।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ওসমান গণি চতুর্থ। সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম শহরে একটি মুরগির ফার্মে চাকরি নেন ওসমান। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন। চাকরি নেন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। ওই চাকরি চলে গেলে ৯ মাস ধরে বেকার ওসমান।

ফেসবুকে প্রেম, কক্সবাজারের তরুণকে বিয়ে করলেন থাই নারী

ওসমান গণি বলেন, ‘গতবছরের জানুয়ারিতে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যায়। পরে বাবার অসুস্থতার খবর শুনে এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশে আসে। সে যাত্রায় সাতদিন থাকে। সবশেষ গত ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসে এবং ১২ ডিসেম্বর আমাদের বিয়ে হয়। সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে নাম রাখা হয় খাদিজাতুল কোবরা।’

তানিদা থাইল্যান্ডে চাকরি করেন উল্লেখ করে ওসমান বলেন, এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন খাদিজা। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। তবে মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।

ওসমান আরও বলেন, ভিসা পেলে তিনিও থাইল্যান্ডে যাবেন। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবেন। ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, খবরটি শুনে আমরাও দেখতে গিয়েছি।

ওসমানের বাবা জাবেরের বরাতে তিনি বলেন, ‘বিদেশি বউমা স্থানীয় ভাষা বোঝেন না। ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে, বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছেন।’

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।