‘কল্যাণে’ নেই নীলফামারীর শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কোনো সেবাই মিলছে না শ্রমিকদের সেবা-বিনোদনের জন্য গড়ে উঠা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র থেকে। ফলে কোনো শ্রমিককে এ কেন্দ্রে আসতে দেখা যায় না। ফলে দিনের পর দিন নষ্ট হচ্ছে এখনকার যন্ত্রপাতি।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ছোট-বড় দুই হাজারের বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা ও বিনোদনের জন্য ১৯৭৮ সালে ৫৪ শতক জমির ওপর গড়ে উঠে কেন্দ্রটি। শুরুতে কেন্দ্রটি শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করলেও বর্তমানে চলছে না কোনো কার্যক্রম।

কেন্দ্রটিতে সেবা দেওয়ার জন্য ১২ জন কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও এক যুগ ধরে শূন্য রয়েছে ছয়টি পদ। এতে থমকে গেছে চিকিৎসাসেবা। সচল নেই খেলার কোনো উপকরণ।

বাস শ্রমিক পারভেজ উদ্দিন বলেন, এখানে আমাদের সিনিয়র ওস্তাদরা সেবা পাইতো এখন আমরা পাই না। কেন্দ্রটি চালু হলে আমাদের অনেক ভালো হয়।

রিকশাচালক রুবেল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন রিকশা চালাই। কোনো শ্রমিক যায় না ওখানে। আমার রিকশায় কেউ যায় না। আমি গেছিলাম চিকিৎসার জন্য দেয় নাই। শুধু নামে চলে ওটা।

জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশীদ বলেন, ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছে সৈয়দপুরসহ জেলার অন্যান্য সেকশনে। তবে এ কেন্দ্রটি থেকে বর্তমানে কোন সুযোগ সুবিধা শ্রমিকরা পায় না।

জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শ্রী রঞ্জিত রায় বলেন, শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ, চিকিৎসাসহ কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। অথচ সরকার প্রতি বছর এ কেন্দ্রে কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মেটাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন। দ্রুত কেন্দ্রটি চালুর হোক এ দাবি করছি।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রটির শ্রম কল্যাণ সংগঠক আব্দুল খালেক বলেন, ২০১০ সাল থেকে অফিসে চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ ছয়টি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে শ্রমিকদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ভবনগুলোর অবস্থাও নাজুক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক আবুল বাশার বলেন, চিকিৎসা কর্মকর্তা, নার্সসহ ছয়টি পদে জনবল না থাকার বিষয়টি শ্রম মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি এসব সমস্যা শিগগিরি সমাধান হবে।

আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।