টনসিলের অপারেশন করাতে গিয়ে নারীর মৃত্যু, পালালেন চিকিৎসক
মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় লাকী আক্তার (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের পানিছত্র এলাকার কেআই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সন্ধ্যায় বিচারে দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজনরা। এসময় হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ঘটেছে। ঘটনার পর পলাতক আছে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত লাকী আক্তার মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা পৌরসভার খানকান্দি এলাকার সৈয়দ শামীমের স্ত্রী।

স্থানীয়, হাসপাতাল ও রোগীর আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকার বেসরকারি কেআই হাসপাতালে ভর্তি হন লাকী আক্তার। দুপুর ১টার দিকে টনসিল অপারেশনের জন্য তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালের দোতলার অপারেশন থিয়েটারে। সেখানে মিজানুর রহমান নামে একজন চিকিৎসক তার সহযোগীদের নিয়ে অপারেশন শুরু করেন। অপারেশন টেবিলেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন এই গৃহবধূ। কিন্তু বিষয়টি গোপন করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠানোর চেষ্টা করে। এসময় নিহত লাকীর স্বজনরা তার মারা যাবার ঘটনা টের পান। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে সন্ধ্যায় নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা হাসপাতাল ভাঙচুরও করেছে।
খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তবে উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ডা. মিজানুর রহমান, তার সহযোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, কেআই হাসপাতালে প্রায়ই ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবুও এ ব্যাপারে প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নিহত লাকীর স্বামী সৈয়দ শামীম বলেন, অপারেশনের ৪ ঘণ্টা পরে বলে ঢাকায় নিতে হবে। এ কথা বলার আগেই মারা যায় লাকী। আমি ডাক্তার ও হাসপাতালের মালিকদের বিচার চাই। কেন আমার তিনটি মেয়েকে মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত করলো।
মাদারীপুর সদর মডেল থানা পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সেলিম সরদার বলেন, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেএস/এমএস