অবশেষে দখলমুক্ত হলো কুমার নদের এক একর জমি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

অবশেষে মাদারীপুরে দখলমুক্ত হলো কুমার নদের এক একর জমি। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দখল হওয়া নদের এই জমি পুনঃউদ্ধার করা হয়।

এতে ভেস্তে গেছে মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব খানের প্লট বিক্রির পরিকল্পনা। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে প্রশাসন। তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের দাবি, ফুলের বাগান নির্মাণ করতেই এই জায়গাটি ভরাট করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুরের চতুরপাড়া মৌজায় কুমার নদের ওপর একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। কালের বিবর্তনে পলি পড়ে বন্ধ হয়ে যায় সেটির কার্যক্রম। এতে গতিপথ পরিবর্তন হয় নদের।
এই সুযোগকে কাজে লাগান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। কুমার নদের এক একর জমির চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করেন। পরিকল্পনা ছিল প্লট বিক্রির। বিষয়টি নজরে এলে ইউনিয়নের তহশিলদার লিখিতভাবে জানান প্রশাসনকে।

পরে নদের দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে অভিযানে যান মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন। ঘটনার সতত্যা পেলে ভেকু মেশিন দিয়ে বাঁধ ভেঙে দেওয়া হয়।

jagonews24

অভিযানে অংশ নেয় সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম, মস্তফাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদারসহ অনেকেই।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া এই নদের জায়গা দখলে কারা জড়িত ছিল তাদের নাম তালিকাভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনারকে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া নদের জমিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ফসল চাষাবাদের কথা ভাববে প্রশাসন। পাশাপাশি অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব খান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন গুজব রটিয়ে হেয় করা জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। ভরাট করা জায়গাটিতে ফুলের বাগান নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল।

এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।