ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৫৩ সহকর্মীর অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ থেকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: আইনজীবীদের আদালত বর্জনের পর পাল্টা কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা

মফিজুর রহমান বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫৩ জন আইনজীবী সই করে একটি অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দেওয়া আইনজীবীদের মধ্যে শাহ মো. কাউসার মিয়া, রফিক ও দাইয়ান বলেন, আমরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কিছুদিন ধরে আইনজীবী সমিতির নেতাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করে আসছি। সর্বসম্মতিক্রমে সবাই আদালতে শুনানিতে অংশ গ্রহণ বর্জনের কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু আইনজীবীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রোববার (৮ জানুয়ারি) আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত। তাই আমরা ৫৩ জন আইনজীবী সই করে একটি আবেদনে তার বহিষ্কার দাবি জানিয়েছি।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৩ দিন আদালত বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

এ বিষয়ে বহিষ্কার হওয়া মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই বিব্রত। এরপর তিনি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাননি।

আদালতের একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একটি মামলাকে কেন্দ্র করে সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে নারী-শিশু নির্যাতন দমন-১ আদালতের বিচারকের বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি।

আরও পড়ুন: আদালত বর্জনের সময় বাড়ালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা

পরবর্তীতে জেলা জজ, নারী-শিশু আদালতের বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ আদালতের নাজিরের বিচারের দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি। এদিকে, বিচারকের সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবী অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১৭ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতিসহ ৩ আইনজীবীকে সমন ও শোকজ করেছে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।