নাব্য সংকট

ফরিদপুর নদী বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩

ফরিদপুর নদী বন্দরে নাব্য সংকটে যেকোনো সময় জাহাজ বন্ধের শঙ্কায় রয়েছে ব্যবসায়ী ও হাজারো শ্রমিক। প্রায় এক মাস আগে খননের জন্য দুটি ড্রেজার আনা হলেও বন্ধ আছে একটি ড্রেজার। আরেকটি চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরে পদ্মা নদীর সিঅ্যান্ডবি ঘাটকে ২০১৫ সালে নদী বন্দরে উন্নীত করা হয়। ফরিদপুর নদী বন্দরের এ ঘাটে ২০১৭ সাল থেকে ইজারা কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু কাগজপত্রে বন্দরে উন্নীত করা হলেও কার্যত কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি। এমনকি জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌ-রুটেরও কোনো কাজ করা হয়নি। ফলে প্রায় দু’মাস ধরে নাব্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে যেকোনো সময় জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ী ও হাজারো শ্রমিক।

আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে নাব্য সংকট: বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

বন্দরের সুবিধাভোগী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, নাব্য ফেরাতে অনেকদিন ধরে দুটি ড্রেজার এ চ্যানেলে অবস্থান করলেও একটি ড্রেজার একদিনের জন্যেও চালানো হয়নি। অপরটি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। বন্দর সচল রাখতে খনন কাজের গতি নেই। আবার বিষয়টি দেখারও কেউ নেই। বন্দরটি বন্ধ হয়ে গেলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়া বর্তমানেও ট্রলারে করে মালামাল নেওয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

Faridpur2.jpg

এ রুটে চলাচলকারী জাহাজের নাবিক আতিয়ার রহমান জাগো নিউজকে বলেন, জাহাজ চলাচলে ১০ থেকে ১২ ফুট পানির গভীরতা থাকার দরকার হলেও পদ্মা নদীর হাজীগঞ্জ থেকে ফরিদপুর নদীবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার পানি পথে বর্তমানে পানির গভীরতা রয়েছে চার থেকে পাঁচ ফুট। তাই বড় জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুন: লঞ্চে আয় কমলেও নাব্য সংকটে বেড়েছে ব্যয়

মেসার্স মজিবুর রহমান ট্রেডার্সের মালিক মো. মজিবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নদীতে নাব্য সংকটের কারণে এরই মধ্যে চাল ও গমসহ ভারী পণ্যবাহী বড় জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পানি আরও শুকিয়ে গেলে ছোট-বড় সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Faridpur2.jpg

এ ব্যপারে বিআইডব্লিউটিএর’র আরিচা বন্দরের পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ রহমান বলেন, নদীতে নাব্য সংকট কাটাতে দুটি ড্রেজার পাঠানো হয়েছে। একটি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ চলছে, অন্যটি চরভদ্রাসনের হাজীগঞ্জ বাজারের পাশে রয়েছে। চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেশনে না থাকায় সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি, বিধায় ওই ড্রেজারটি দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়নি। তারপরও এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ড্রেজার দুটি চালু করা হবে।

আরও পড়ুন: নাব্য সংকটে বাঘাবাড়ি-নগরবাড়ি বন্দরে ভিড়তে পারছে না জাহাজ

এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এন কে বি নয়ন/জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।