গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন মা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শ্বশুরবাড়িতে হারুনুর রশিদ হারুনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় ‘আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসি চাই’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে আহাজারি করতে দেখা যায় নিহত হারুনের মা কোহিনুর বেগমকে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হারুনের বাবা আবদুল মান্নান, বোন জোৎস্না বেগম, শান্তা আক্তার, ভাই রিয়াজ হোসেন, রসুলগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি তমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ব্যবসায়ী স্বপন পাটোয়ারী, সফি মাহমুদ নিজু, আবদুল মতিন, নিয়াজ আহমেদ ও হান্নান হোসেন বাবু। এ সময় হারুন হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
হারুনের মা কোহিনুর বেগম বলেন, হারুনের স্ত্রী বৈশাখী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিল। এতে বাধা দেওয়ায় বৈশাখীসহ আসামিরা আমার ছেলেকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
এদিকে হারুন হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তার বোন জোৎস্না বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় মামলা করেন। এছাড়া এ ঘটনায় আটক হারুনের স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী ও শাশুড়ি খুকী বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জুয়েল পলাতক।
এজাহার সূত্র জানায়, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে হারুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আসামিরা বাড়ির পাশের বাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। হারুন সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের নবীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে ও রসুলগঞ্জ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, মামলার দুই আসামি কারাগারে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কাজল কায়েস/এফএ/জিকেএস