গাজীপুর
কেক-পেটিস খাওয়ার পর দুই বোনের মৃত্যু: দোকানি সাইফুল রিমান্ডে

গাজীপুরে পেটিস ও কেক খেয়ে অসুস্থ হয়ে দুই বোনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার দোকানি সাইফুল ইসলামকে (৪৮) দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর সিএমএম আদালতের বিচারক নিয়াজ মখদুম এ আদেশ দেন। গ্রেফতার অপর তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গাজীপুর সদর থানার দক্ষিণ সালনা এলাকার দোকানি সাইফুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তার দোকান থেকে কেক ও পেটিস কিনে এনে দুই শিশু সন্তানকে খাইয়েছিলেন মামলার বাদী আশরাফুল ইসলাম। খাবারে কোনো ধরনের বিষ মিশানো হয়েছিল কি-না জানতে দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গ্রেফতার অপর তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মো. সোহেল (৪৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর থানার কোনাউর এলাকার শহিদুল ইসলাম (২৫) ও একই গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (৪৫)। তারা সালনা এলাকার একটি বেকারির কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ওই বেকারি থেকে সাইফুলের দোকানে কেক ও পেটিস সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৪
রোববার সাইফুলের দোকান থেকে কেনা কেক ও পেটিস খাওয়ার পর আশামণি (৬) ও তার ছোট বোন আলিফা আক্তার (২) অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, দুই শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার সকালে তাদের বাবা আশরাফুল বাদী হয়ে দোকানি সাইফুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলার ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে সাইফুলসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। ওই আদালতের বিচারক নিয়াজ মখদুম দোকানির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন জাগো নিউজকে বলেন, দুই শিশুর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের মৃত্যু খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম/এসজে/এমএস