হিরো আলমকে মিষ্টি খাওয়ালেন নির্বাচন কর্মকর্তা

বগুড়ায় উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে তাকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এসময় সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের ফলাফলের কপি নিতে যান হিরো আলম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ সকালে তিনি ফোনে এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আমি এ ফলাফল মানি না: হিরো আলম
এ বিষয়ে বগুড়া জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘যেহেতু হিরো আলম ফলাফল নিয়ে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং টিভি-টকশোতেও একই অভিযোগ করেছেন, সেটা দেখে সিইসি স্যার আমাকে ফলাফল পুনরায় যাচাইয়ের জন্য আজ সকালে ফোনে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ফলাফলের সব কপি ঢাকায় পাঠাতে বলেন।’
‘পরে আমরা ফলাফল আবার যাচাই করে দেখেছি সব ঠিক আছে। আজ হিরো আলম বিকেল ৩টায় আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমরা তাকে ইভিএম মেশিনের ফলাফলের কপি এবং কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সই করা ফলাফলের কপি দিয়েছি’, যোগ করেন এ নির্বাচন কর্মকর্তা।
এসময় হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে রিট করবো। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। একশ্রেণির মানুষ আমাকে ‘স্যার’ ডাকতে চায় না।
আরও পড়ুন: দুই আসনেই হারলেন হিরো আলম
তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে আর সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতি থাকলে আমি আর নির্বাচন করবো না। আমার খালা গতকাল এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছিলেন। খালা তিনবার একতারা চাপ দিছেন তবে প্রতিবারই শুধু নৌকা উঠেছে।’
এরআগে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় হিরো আলম তার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বগুড়া-৪ আসনে ভোট কারচুপি না হলেও গণনার সময় ফল পাল্টানো হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসআর/জিকেএস