পরশুরামে আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম, আটক-৭

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনাদি রঞ্জন সাহার ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ (মোটা মাসুদ), সলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান; উত্তর বাউরখুমা গ্রামের মো. ইব্রাহিম, বেড়াবাড়িয়া গ্রামের মো. ইয়াকুব (ভুট্টু), উত্তর গুথুমা গ্রামের মিজানুর রহমান চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম (বাবু)
এর আগে রাত ৮টা দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ডেকে নিয়ে অনাদি রঞ্জন সাহাকে রড় দিয়ে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রঞ্জন সাহা জানান, সলিয়া এলাকার ফয়েজ আহম্মদ বুলু মিয়ার ছেলে আমাকে ফোন দিয়ে বলে মেয়র (সাজেল চৌধুরী) আপনাকে ডাকছে, অফিসে আসেন। খবর পেয়ে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গেলে আনোয়ার লোহার রড় দিয়ে আমাকে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, রঞ্জন সাহার পায়ের বিভিন্ন স্থানে রডের আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইয়াসিন শরীফ মজুমদার বলেন, হামলাকারী আনোয়ার একজন মাদককারবারী। তাকে সবাই পরশুরাম পৌরসভার মেয়র সাজেলের সহযোগী হিসেবে জানে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে পরস্পরকে নানা বিষয়ে দোষারোপ করেন।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/আরএইচ/এমএস