শ্রদ্ধার পুষ্পস্তবকে ভাঙচুর চালালো ছাত্ররা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার অ্যাম্বিশন হাইস্কুলের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর তৈরি করা পুষ্পস্তবক ভাঙচুর করেছে প্রতিষ্ঠানটির সপ্তম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সপ্তম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র লাইব্রেরি কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে রাখা পুষ্পস্তবক ভাঙচুর করে। এসময় অফিসের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আসবাবপত্রও নষ্ট করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এক ছাত্র জানায়, তাদের স্থানীয় বিল্লাল এবং ফরিদসহ কয়েকজন হুমকি দিয়ে এ কাজ করিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি স্কুলের ছাত্রদের কোনো ধরনের হুমকি দিইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি এই ভাঙচুরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে অ্যাম্বিশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম কাইয়ুম হক বলেন, আমরা সোমবার সারাদিনব্যাপী পরিশ্রম করে শহীদ মিনার এবং ফুলের ডালা সাজাই। কিন্তু রাতে আমাদেরই কয়েকজন শিক্ষার্থী স্থানীয় কয়েকজনের প্ররোচনায় এগুলো ভাঙচুর করেছে বলে জানতে পেরেছি। প্ররোচনাকারীরা এর আগে আমাদের শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করায় অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের চুন্নু হাওলাদার বলেন, আমরা ভাঙচুরের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক জরুরি সভা ডেকে অভিযুক্ত ছাত্র এবং তার বাবার কাছ থেকে একটি লিখিত রাখি। এছাড়া আগামীকাল আমরা আরও একটি সভা ডেকেছি। ওই সভায় এই ঘটনায় আমাদের করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অ্যাম্বিশন হাইস্কুলের শহীদ মিনার এবং স্কুলের লাইব্রেরিতে ভাঙচুরের একটি ঘটনা আমরা শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, মাঝীরঘাটের অ্যাম্বিশন হাইস্কুলের শহীদ মিনার এবং লাইব্রেরিতে ভাঙচুরের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনা সত্যি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআআর/জেআইএম