সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ শেষে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে ফেরার পথে পর্যটকবাহী জাহাজ বে-ক্রুজ স্টাফদের হাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই দফা মারধরের ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জাহাজে আসা শিক্ষার্থী রেদোয়ান।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে প্রথম দফায় সাগরের মাঝপথে, এরপর সন্ধ্যায় দমদমিয়া জেটিঘাটে পৌঁছালে আবারও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ, বিজিবিসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেদোয়ান বলেন, ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন থেকে বে-ক্রুজে ফিরছিলেন ৭৫ জন শিক্ষার্থী। মাঝপথে এসে বসার আসন থেকে শিক্ষার্থীদের তুলে দেন জাহাজের স্টাফরা। তুলে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করেন তারা। পরে জাহাজ দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছালে স্টাফরা খবর দিয়ে বহিরাগত লোক ডেকে এনে আরেক দফা মারধর করেন। এতে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
সেন্টমার্টিন ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সিটে বসা নিয়ে জাহাজের স্টাফ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি প্রথমে সাগরের মাঝপথে হয়। পরে দমদমিয়া জেটিঘাটে পৌঁছালে দ্বিতীয় দফায় হয় বলে খবর পেয়েছি।
পর্যটকবাহী জাহাজ বে-ক্রুজের পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, জাহাজে করে আসা শিক্ষার্থীরাই স্টাফদের মারধর করেছেন বলে জেনেছি। এরপরও খোঁজ নিচ্ছি, কী হয়েছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জাহাজ স্টাফদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শোনার পর ঘাটে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি অবসান করেছি।
সায়ীদ আলমগীর/কেএসআর