খসে পড়ছে পলেস্তারা, জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে সেবা

রাজীবুল হাসান রাজীবুল হাসান ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩

দীর্ঘ বছরের পুরোনো কয়েকটি ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা। ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের আস্তরণ খুলে পড়ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিচ্ছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সরকারি দুটি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার বাণিজ্যিক বন্দরনগর খ্যাত একটি উপজেলা ভৈরব। ১৯৮৩ সালে ভৈরব থানা থেকে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে দ্বি-তল ভবনসহ আরও কয়েকটি ভবন নির্মাণ হয়েছিলো। সেসব ভবনেই সরকারি দপ্তরের কাজ চলে আসছে। এখন ভবনগুলোর ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে চলছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের কার্যক্রম।

খসে পড়ছে পলেস্তারা, জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে সেবা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের দোতালায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় এবং নীচ তলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপন করা হয়। এছাড়া আরেকটি পুরাতন ভবনে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। সেসব কার্যালয়ে প্রতিদিনই আসেন কয়েকশ সেবাপ্রার্থী। ঝুঁকি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সেবা দিচ্ছেন।

উপজেলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারের প্রশিক্ষণার্থী মাহমুদা বেগম বলেন, ‘পুরাতন ভবনে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে আসি। মাঝেমধ্যে ভবনের বারান্দার ছাদ ও দেওয়ালের কিছু অংশের আস্তরণ খুলে পড়ছে। কখন যে দুর্ঘটনার শিকার হই সবসময় সে ভাবনায় থাকি।’

খসে পড়ছে পলেস্তারা, জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে সেবা

ভৈরব উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুন নাহার তাসমিন জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে যে ভবনে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা অনেক বছরের পুরোনো। গতবছর উপজেলায় একটি নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে। সে ভবনে আমাদের কার্যালয়ের জায়গা হয়নি। তাই পুরোনো ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে সরকারি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জাগো নিউজকে বলেন, উপজেলা পরিষদ শুরুর দিকে ভবনগুলো নির্মিত হয়েছিল। প্রায় ৪০ বছর আগে উপজেলার চত্বরে সরকারি অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কয়েকটি ভবন নির্মাণ হয়েছিল। জরাজীর্ণ ভবনগুলোর বারান্দার ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। যাতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।

এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।