নেশা আর অভাব: স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর মরলেন নিজে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:১৩ এএম, ২৫ মার্চ ২০২৩
বাবা-মাকে হারিয়ে এই তিন শিশু এখন চাচার আশ্রয়ে

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে নিজেই ‘আত্মহত্যা’র পথ বেছে নিয়েছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সুর্যল হক। এলাকাবাসী ও পুলিশ বলছে, সুর্যল নেশা করতেন। সেই সঙ্গে পরিবারে ছিল অভাব-অনটন। তাই হতাশায় ছিলেন সুর্যল। এই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন।

এদিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতেই তাদের দাফন করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। একটি হত্যা এবং অপরটি অপমৃত্যু মামলা। এ ঘটনায় আত্মহননকারী সুর্যল হক ছাড়া অন্য কারো প্ররোচনা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে চুনারুঘাটের গাদিশাল গ্রামে গাছে ঝুলানো অবস্থায় সুর্যলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের মরদেহ ঘরের খাটের নিচে এবং বড় ছেলের লাশ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়।

সুর্যল হকের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এরমধ্যে নিহত ১০ বছরের বড় ছেলে ইয়াছিন প্রতিবন্ধী ছিল। বাকি তিন সন্তান বর্তমানে চাচার আশ্রয়ে রয়েছে।

চুনারুঘাট ও মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, সুর্যল হক প্রায়ই নেশা করতেন।

আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে গৃহবধূকে বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কারো প্ররোচনা রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া আসলে কিছুই বলা যাবে না। তবে সুর্যল যে তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন এটা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

চুনারুঘাট থানার ওসি মো. রাশেদুল হক জানান, পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। একটি হত্যা এবং অপরটি অপমৃত্যু মামলা।

পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, সুর্যল নেশাগ্রস্ত থাকতেন এবং তার পরিবার অসচ্ছল ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে একসঙ্গে ১৩ শকুনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

আহম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ জানান, সুর্যল হক মানসিক রোগীর মতো আচরণ করতেন। প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধোর করতেন তিনি।

নিহতের ভাই নুরুল হক জানিয়েছেন, তার ভাই নেশা করতেন। তার স্ত্রীকে মারধোরও করতেন। এর আগেও তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।

আত্মহননকারী সুর্যল হকের বেঁচে থাকা দ্বিতীয় ছেলে জিহান মিয়া পুলিশের কাছে জানিয়েছে, তার মাকে হত্যা করার আগে সুর্যল হক সিগারেটের সঙ্গে কিছু একটা খেয়েছেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/জেডএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।