সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনা
ওমরাহ পালনের জন্য ১২ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন মামুন
জীবিকার সন্ধানে ছয় মাস আগে সৌদি আরব পাড়ি জমান কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া (২২)। ওমরাহ পালনের জন্য কর্মস্থল থেকে ১২ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না।
সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ ওমরাহযাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে মামুনসহ ১৩ বাংলাদেশি ছিলেন।
জানা গেছে, নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি কুমিল্লায়। এর মধ্যে মামুন ও রাসেল মোল্লা মুরাদনগরের বাসিন্দা এবং গিয়াস হামিদের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে মুরাদনগরের মোস্তাপুর গ্রামে মামুনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় মামুন নিহতের খবর পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন। বাড়িটিতে চলছে শোকের মাতম। তবে মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল তেমন কথা বলছেন না। মা মমতাজ বেগম ছেলের জন্য হাউমাউ করে কাঁদছেন। মোবাইলফোনে ছবি দেখে বুক চাপড়াতে দেখা যায় তাকে।
স্বজনরা জানান, পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে মামুন চতুর্থ। ছয় মাস আগে মামুন তার মামা ইয়ার হোসেনের মাধ্যমে সৌদিতে যান। সেখানে হোটেলবয় হিসেবে কাজ করতেন। মালিক ১২ দিনের ছুটি দেন ওমরাহ করার জন্য।
মামুনের মামি তাসলিমা বেগম জানান, মামুন, তার মামা ইয়ার হোসেন এবং মামুনের ভাগ্নে জাহিদুল ইসলাম বাসে করে ওমরাহ করার জন্য মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। ইয়ার হোসেন ও জাহিদ গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে মক্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কুমিল্লা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান দপ্তরের কর্মকর্তা দেব্রবত ঘোষ বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য যা যা করতে হয়, তার সবই করব।
জাহিদ পাটোয়ারী/এমআরআর/এএসএম