মসজিদের ফ্যান বিক্রির টাকার হিসাব চাওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ৬

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, ০২ এপ্রিল ২০২৩

নড়াইলে মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হন।

শনিবার (১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আলোকদিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা সমর্থিত সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (৩২), ছিরু মোল্যা (৪৫) ও রিয়াদ মোল্যা (১৫) এবং মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার সমর্থিত মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামের শরিফুল সিকদার (৩০), তরিকুল মোল্যা (৩২) ও ভুট্টো সিকদার (৫০)।

আটকরা হলেন- সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের মৃত আবুল সিকদারের ছেলে ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার, আলোকদিয়া গ্রামের মৃত নিছার উদ্দিন মোল্যার ছেলে ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা, ইউনুচ মোল্যার ছেলে লিয়াকত মোল্যা ও আবুজার মোল্যার ছেলে মাবিবর হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদরের শাহাবাদ ও মাইজপাড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের স্থানীয় মুসল্লিরা আলোকদিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদে নামাজ পড়েন। মসজিদ কমিটির অনুমতি ব্যতীত কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার মসজিদের দুটি পুরাতন সিলিং ফ্যান কয়েক দিন আগে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন।

na-(2).jpg

শনিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা, কমিটির অনুমতি ব্যতীত কার নির্দেশে কেন সিলিং ফ্যান বিক্রি করা হয়েছে কোষাধ্যক্ষ আমিনুরের কাছে জানতে চান এবং সেই টাকার হিসাব দিতে বলেন। প্রতি উত্তরে আমিনুর তেমন কোনো সন্তুষ্টজনক উত্তর দিতে না পারায়
সভাপতির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে মসজিদের সামনের রাস্তায় মসজিদ কমিটির সভাপতি সমর্থিত শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া ও কোষাধ্যক্ষ সমর্থিত মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখেন।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবু দাউদ মোল্যার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, খবর
পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সংঘাত
এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

হাফিজুল নিলু/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।