স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখে আনে না: কৃষিমন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৯:১২ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০২৩

স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখে আনে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা অডিটরিয়ামে এবি ব্যাংকের আয়োজনে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় ‘জয় বাংলা’ উল্লেখ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখে আনে না। তারা দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা স্লোগান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ও বাঙালি জাতির সাহস সক্ষমতার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলো জয় বাংলা স্লোগান। এই স্লোগান বিএনপি দেবে না।

ড. রাজ্জাক বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দেশ থেকে মঙ্গা দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একইসঙ্গে, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূলসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে।

স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখে আনে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিঋণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিখাতে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানা কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময় এসব শর্ত কৃষকেরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকরা পূরণ করতে পারে না। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য প্রকৃত কৃষককে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে।

কৃষিঋণের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করেন এবং স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেওয়ায় এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। এবি ব্যাংক সহজ শর্তে মাত্র চার শতাংশ সুদে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার ১ হাজার ৫০০ কৃষকের মাঝে ঋণ বিতরণ করে। প্রতি কৃষককে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়।

এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম তপন প্রমুখ এসময় বক্তব্য দেন।

আরিফ উর রহমান টগর/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।