অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ

ভেজা লুঙ্গিতে শীতলতার পরশ খুঁজছেন বৃদ্ধ সিরাজুল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩

পটুয়াখালীর আউলিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (৭০)। তিনি শহরের অভিরুচি হোটেলের পানি পরিবহনের কাজ করেন।

গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে সবাই যখন হাঁসফাঁস করছে তখনো লাউকাঠী নদী থেকে কলসের পর কলস পানি টেনে নিচ্ছেন হোটেলে। রোদ আর গরম থেকে বাঁচতে একটি লুঙ্গি ভিজেয়ে তা গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন। আর তাতেই কিছুটা শীতল হওয়ার চেষ্টা। তবে কিছুক্ষণ পর পর সেই লুঙ্গিও শুকিয়ে যায়।

ভেজা লুঙ্গিতে শীতলতার পরশ খুঁজছেন বৃদ্ধ সিরাজুল

পটুয়াখালীতে গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিত অনেকটা কমে গেছে। তবে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে রোজাদাররাও কষ্টের মধ্যে আছেন। প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে দিনের শেষের দিকে রোদের তীব্রতা কমলে তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে থাকে।

ভেজা লুঙ্গিতে শীতলতার পরশ খুঁজছেন বৃদ্ধ সিরাজুল

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমজীবী মানুষরা কিছু সময় কাজ করার পর ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। অনেকেই ঘামে ভিজে কাজ করছেন। তবে নির্মাণ শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।

ভেজা লুঙ্গিতে শীতলতার পরশ খুঁজছেন বৃদ্ধ সিরাজুল

শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্ক এলাকায় গাছের নিচে বিশ্রাম নেওয়া অটোরিকশাচালক হোসেন আলী বলেন, গাড়ি চালালে রোদের কারণে মাথা ঘোরায়। কী করমু, বাধ্য হয়ে বইসা আছি। রোদে কুলাইতে পারি না।

পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, রোববার পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত হবে তা সন্ধ্যা ৬টায় বলা যাবে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টা এমন পরিস্থিতি থাকবে।

আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।