বাঁধের কাজে অনিয়ম, ইউএনওসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সদস্য মো. শওকত আলী।
মামলায়, শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব, শাল্লা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ূম, শাল্লার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ, উপজেলার দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়কে আসামি করা হয়।
মামলাটি পরিচালনাকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার নাগ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি আমলে নেয়।
মামলায় জানানো হয়, চলতি বছরে শাল্লা উপজেলাধীন ভান্ডাবিল হাওরের উপ-প্রকল্পের আওতায় নতুন বৈশাখালী পর্যন্ত ১৪৬ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য ২৭ নম্বর পিআইসি তৈরি করা হলে সেখানে ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০১ টাকা বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ এর নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে জমি যার সেই পাবে পিআইসি, সে নিয়ম না মেনে শাল্লার হাবিবপুর ইউনিয়নের নারকিলা গ্রামের শান্ত কুমার দাশ, উপজেলার দামপুর গ্রামের বকুল আহমেদ এবং আনন্দপুর গ্রামের বিপ্লব রায়কে এ পিআইসির সভাপতি, সদস্য সচিব ও সদস্য করা হয়।
সেখানে দুই কিস্তির টাকা পরিশোধ করলেও এবং নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয় মামলায় এবং তাদের পিআইসি দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলা দায়েরকারী হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সদস্য মো. শওকত আলী বলেন, শাল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে শান্ত, বকুল ও বিপ্লবকে পিআইসি দিয়েছেন, অথচ তাদের বাঁধের পাশে কোনো জমি নেই, তাহলে কোনো নীতিমালা মেনে তারা তাদের পিআইসি দিলেন, সরকারের এতগুলো টাকা নিয়ে এভাবে নয়ছয় করার এখতিয়ার কারও নেই, আমি আদালতে মামলা করেছি আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।
শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, ‘সারাদিন হাওরে কাজ করে এত কষ্ট করে সঠিকভাবে বাঁধের কাজ করেও আজ মামলার আসামি হতে হলো। এটা সত্যি কষ্টজনক। আর মামলায় যেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।’
লিপসন আহমেদ/এসজে/এমএস