বিদেশ যাওয়ার আগে পুকুর পাড়ে মরদেহ মিললো যুবকের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

নওগাঁর আত্রাইয়ে পুকুর পাড় থেকে সোহাগ (২১) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের ধারণা, সাবেক স্ত্রীর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছেন।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে গ্রামের ওমর আলী মাস্টারের পুকুর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সোহাগ উপজেলার সিংসাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের দিদারুল প্রামানিকের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে সিংসাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মৌসুমীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সোহাগ। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক কলহ শুরু হয়। এনিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোহাগকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন সোহাগ। পাঁচমাস আগে মোসুমীর সঙ্গে সোহাগের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

সম্প্রতি সোহাগ বিদেশ যাবেন বলে কাগজপত্রের কাজ এবং প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেন। তবে কয়েকদিন আগে আবারও সাবেক স্ত্রী মৌসুমীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।

রোববার (১৬ এপ্রিল) রাতের কোনো একসময় সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায় মৌসুমী বা তার পরিবার। এরপর তাকে হত্যা করে পুকুর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। ঘটনার পর থেকে মৌসুমীর বাড়ির লোকজন পলাতক। বাড়ি তালাবদ্ধ দেখা গেছে।

নিহত সোহাগের বাবা দিদারুল প্রামানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও পরে কলহের কারণে স্ত্রীর সঙ্গে সোহাগের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ছেলে বিদেশ যাবে। শুনছি কয়েকদিন আগে থেকে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছিল। রোববার রাতে সবার সঙ্গে খাবার খেয়ে ছেলে তার ঘরে যায়। তবে কখন ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে জানতে পারিনি। সকালে পুকুর পাড়ে ছেলের মরদেহ দেখে আমাকে জানানো হয়। ওই মেয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।’

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মৌসুমীর বাড়িতে কেউ না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথা, শরীর ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

আব্বাস আলী/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।