গরমে ৩০০ টাকার তরমুজ ৬০০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

তীব্র তাপপ্রবাহে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় শরীয়তপুরে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। বর্তমানে জেলার প্রত্যেকটি বাজারে বড় সাইজের ৩০০ টাকার তরমুজ ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও তরমুজের দাম ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে।

সরেজমিনে শরীয়তপুর পালং বাজার, ভেদরগঞ্জ বাজার ও নড়িয়া বাজারে দেখা যায়, ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের তরমুজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, মোকামে দাম বেশি এবং সরবরাহ কমে গেছে। ছোট সাইজের ১০০ তরমুজ আট হাজার টাকার পরিবর্তে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ ১৮ হাজারের পরিবর্তে ২৬ হাজার টাকা ও বড় তরমুজ ২২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৩৮-৩৯ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

গরমে ৩০০ টাকার তরমুজ ৬০০

ভেদরগঞ্জ বাজারে দেখা যায়, খুচরা একটি ছোট সাইজের তরমুজ ২০০-২২০ টাকা, মাঝারি ৩০০-৩৫০ টাকা এবং বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা দরে। এ দামে তরমুজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।

ভেদরগঞ্জ বাজারের আড়তমালিক আব্দুল কাদের চোকদার, শাহাদাত হোসেন রাড়ী ও ফজলুল হক দালাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘গরমে আমরা তরমুজ বেশি কিনছি না। তারপরও মোকামে দাম অনেক বেশি। ভাঙা রাস্তার কারণে ২০ হাজার টাকার ভাড়া ২৫ হাজার টাকা দিতে হয়। তাই খুচরা বাজারেও একটু বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানদাররা।

গরমে ৩০০ টাকার তরমুজ ৬০০

খুচরা বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও বিল্লাল মাঝি বলেন, ‘তরমুজের দাম শুরুতেই তুলনামূলক স্বাভাবিক ছিল। এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ কারণে ক্রেতাও কম। দৈনিক ১০০ তরমুজ বিক্রি করতে কষ্ট হয়। সামনে ঈদ। তাই টেনশনে আছি।’

ক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘৫-৭ দিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। ইফতারে তরমুজ না হলে প্রশান্তি পাই না। বাড়ির সদস্যদের জন্য মৌসুমি ফল বেশি দাম হলেও একটু কিনতে হচ্ছে।’

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।