কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে নিজের ধান কাটলেন মেম্বারের ভাগিনা
কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে নিজের জমির ধান কাটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের (মেম্বার) ভাগিনা জহুরুল হকের বিরুদ্ধে। তিনি ওই প্রকল্পের শ্রমিক সরদার। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ মে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাটি কাটার ৭২ শ্রমিকের মধ্যে ৯ জনকে দিয়ে জহুরুল পার্শ্ববর্তী কাশীপুর ইউনিয়নের অবস্থিত নিজের ২৪ শতাংশ জমির ধান কাটেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাটিকাটা শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের সরদার তার নিজের ধান কাটার জন্য নিয়ে গেছেন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ধান কেটে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জহুরুল হক জানান, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) দেখভালের দায়িত্বে থাকা সুশীলন প্রকল্পের প্রতিনিধি বকিয়ত হোসেনের অনুমতিতেই তিনি মাটি কাটার শ্রমিক দিয়ে নিজের ধান কেটেছেন।

তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জাগো নিউজকে বলেছেন জহুরুলের মামা ইউপি সদস্য আজিজুল হক।
এদিকে ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখও মাটিকাটা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটার বিষয়ে জানতেন না। খোঁজ নিয়ে পরে জানাবেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।
মাটি কাটা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটানোর বিষয়ে স্বীকার করেছেন সুশীলন প্রকল্পের প্রতিনিধি বকিয়ত হোসেন। তবে তিনি বলেন, অফিসের সঙ্গে কথা বলেই আমি তিনজন লেবারকে দিয়ে ধান কাটতে বলেছি। নয়জনকে দিয়ে নয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জাগো নিউজকে বলেন, মাটি কাটার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটার কোনো সুযোগ নেই। অভিযুক্ত ওই শ্রমিক সরদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস জাগো নিউজকে বলেন, এ প্রকল্পের শ্রমিককে ব্যক্তিগত কোনো কাজে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ফজলুল করিম ফারাজী/এসজে/এএসএম