পুলিশ দেখে পালালেন কনে পরিবারের লোকজন
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক মাদরাসাছাত্রীর (১৫) বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এসময় বাড়িতে পুলিশ দেখে কনে পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। পরে মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করা হয় ওই ছাত্রীকে।
রোববার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের গামছাখালি গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে শরীফের সঙ্গে স্থানীয় মাদরাসার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১৫) বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু বিয়ে বন্ধ করার জন্য থানাপুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে বরযাত্রী আসার আগে বাড়িতে পুলিশ দেখে পালিয়ে যান কনে পরিবারের লোকজন।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের না পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দেওয়া হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী গিয়ে পরিবারের লোকজনকে ডেকে ইউএনওর নির্দেশে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন।
চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী বলেন, অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক মেহমানের জন্য খাবারের আয়োজন ছিল। পরে আমরা বরযাত্রীদের আসতে নিষেধ করে দিয়েছি। এছাড়া জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী কনের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন বাল্যবিয়ের বিষয়টি আমাকে জানান। তবে আমি দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস