তাড়াশ খাদ্যগুদাম
দুই কর্মকর্তার পকেটে দেড়শ টন ধানের টাকা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইয়াসিন আলী ও খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) কাওছার রহমানের বিরুদ্ধে আমন ধান না কিনেই ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কাওছার রহমান বর্তমানে নাটোরের সিংড়া উপজেলার খাদ্যগুদামে পরিদর্শক পদে কর্মরত।
সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিটে এ অর্থ লোপাটের বিষয়টি ধরা পড়ায় নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খাদ্য বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (২৮ মে) সিরাজগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের আমন ধান সংগ্রহের সময়কার। ওই সময় আমি এ জেলায় দায়িত্বে ছিলাম না। তবে সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিটের মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানার পর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছি। খাদ্য বিভাগ এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা এ বিষয়টি তদন্ত করছে।
তদন্ত কমিটি ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওই গুদামে প্রথমে ৪৭৪ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এরপর আরও ১৫০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের বরাদ্দ পেলে নামমাত্র অতিরিক্ত ৫০ জন কৃষকের বিপরীতে সেই ধান সংগ্রহ দেখানো হয়। আর প্রতি টন ধানের বিপরীতে ২৭ হাজার টাকা দরে মোট ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জনতা ব্যাংকের তাড়াশ শাখা থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন ওই কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটির প্রধান নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মুহাম্মদ তানভীর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় কয়েকদিন আগে সরেজমিন তদন্ত করার জন্য ওই খাদ্যগুদামে গিয়েছিলাম। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন খাদ্য বিভাগে জমা দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তাড়াশ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইয়াসিন আলী জাগো নিউজকে বলেন, ভুলে এ কাজটি হয়েছিল। তবে তদন্ত শুরুর আগেই টাকাগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছি। কিছুদিন আগে তদন্ত কমিটি এসেছিল। তারা এ বিষয়ে সব জেনে গেছে।
আরেক অভিযুক্ত ওই সময়ের খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাওছার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি করেন।
এম এ মালেক/এমআরআর/জিকেএস