জয়পুরহাট

পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল ভরাট, দুর্ভোগে কৃষক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ১৪ জুন ২০২৩

জয়পুরহাটের নওগাঁ কাঠালী মাঠ থেকে হারাবতি নদীতে সংযুক্ত পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি সংস্কারের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় সহস্রাধিক কৃষক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার নওগাঁ কাঠালী গ্রামের পূর্ব দিকে বিহিগ্রাম মাঠ থেকে হারাবতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার খালটির অধিকাংশ অংশ জুড়ে আগাছা, কচুরিপানা ও মাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে। এতে করে বর্ষায় উপজেলার বিহিগ্রাম, কাঠালী, শহরগাড়ী, নওগাঁ, লক্ষ্মীকুল, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার করঞ্জি, চেচুরিয়া, ওহিপাড়া এবং গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ছাতিনচড়া ও দেওগ্রাম মৌজার প্রায় ৭০০ একর জমির পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

বর্ষাকালে মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সেই পানি গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করে। শুধু তাই নয়, সময় মত বর্ষার পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে উক্ত মাঠগুলোতে রবি শস্য চাষ মৌসুমে অধিকাংশ জমিতে পানি জমে থাকে। একারণে কৃষকরা তাদের জমিতে সময় মতো আলু, সরিষা ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করতে পারে না। এতে করে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকে।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

নওগাঁ কাঠালী গ্রামের কৃষক হাকিম মিয়া ও শহিদ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের ১০টি মৌজার জমির পানি এই খালটি দিয়ে হারাবতি নদীতে নামে। কিন্তু দীর্ঘ খালটি সংস্কার না হওয়ায় আমাদের জমির পানি জমিতেই থাকে। ফলে আমরা আলু সরিষা লাগাতে পারি না।

Farmer2.jpg

কাঠালী গ্রামের কৃষক আতোয়ার হোসেন ও সবুজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এই এলাকাটিতে প্রায় ২৫০ একর জমিতে আলু চাষ হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের শেষে জমির পানি সময় মতো না নামায় আমরা জমিতে রবি শস্য লাগাতে পারি না। কৃষকের সুবিধায় খালটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী তৌহিদ জাগো নিউজকে বলেন, বিগত সময়ে এই খালটি সংস্কারের জন্য ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু খালটি খননকালীন মাটিগুলো রাখতে দু পাশে যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন সেই জায়গা খাল সংলগ্ন জমির মালিকরা না দেওয়ার কারণে সংস্কার সম্ভব হয়নি। সে কারণে বরাদ্দের অর্থ ফেরত যায়। তবে আমি আবারও নতুন করে খালটি খননের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে খালটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে গেছেন। আশা করছি আগামী বছর খনন কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন: দৈনিক ৩০-৪০ কোটি টাকার আম বিক্রি হয় কানসাট বাজারে

পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনিরুল শহিদ মুন্না জাগো নিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। এবার সুযোগ আসলে সেই খালটি খননের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।