৮ বার ভিটেমাটি হারিয়েছেন

এবার সুফিয়ার টিনের ঘরটিও গ্রাস করলো যমুনা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ২২ জুন ২০২৩

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন (৫৬)। যমুনা নদীর ভাঙনে আটবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন। সবশেষ একটি টিনের ঘর তুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন যমুনার পাড়ে। আজ সেটিও নেই। কেড়ে নিয়েছে আগ্রাসী যমুনা। এখন সব হারিয়ে নদীর কূলে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই বসে আছেন সুফিয়া খাতুন। এমন ভুক্তভোগী শুধু সুফিয়া নয়, যমুনাপাড়ের অসংখ্য পরিবারের।

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও ফসলি জমি। নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত দুদিনে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের হাটপাচিল এলাকায় নদীভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসরি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি, বসতভিটা ও ফসলি জমি। এসব বাড়িঘরের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী।

jagonews24

যমুনা গর্ভে সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে অন্যের জমিতে বাস করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙনরোধে নদীতে কাজ চলমান থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলতিতে এ ভাঙন হচ্ছে।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওফিট্রেট সিস্টেমের স্বত্বাধিকারী কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বালু সংকটের কারণে ভাঙনরোধে আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। কারণ এ এলাকায় কোনো বালুমহাল না থাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা যাচ্ছে না।

jagonews24

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরে যে অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সে এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান। ভাঙনকবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

এম এ মালেক/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।