অস্ত্রোপচার সফল হলেও আশঙ্কামুক্ত নয় বীথি


প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৬

দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত শিশু বীথির পেটে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে বীথি আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের এনআইসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এর আগে গত রোববার সকালে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা গ্রামে পাষণ্ডরা এক অবুঝ শিশকে পেটে ছুরি মেরে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে দেয়।

এদিকে, রোববার রাতে নান্দাইল থানায় বীথির বাবা দীন ইসলাম ধীরু বাদী হয়ে শাহাজাহান বেপারীকে মূল আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে  হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ে করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আহমেদ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
 
উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা গ্রামে বীথি নামে ১৭ মাসের এক শিশুকে ছুরি মেরে পেটের নাড়িভুড়ি বের করে দেয়।  অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির পেট থেকে লম্বা চাকুটি বের করার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

শিশু বীথির মা বিউটি বেগম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রোববার সকালে নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা গ্রামের পুইট্ট্যা শাহজাহানের নেতৃত্বে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তার স্বামী দ্বীন ইসলামকে হত্যা করতে উদ্যত হলে তিনি দৌঁড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী দা, বল্লম নিয়ে তার স্বামীকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পুইট্ট্যা শাহজাহান ও আলমগীর তাদের বাড়িতে এসে তাকে (স্ত্রীকে) ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বললে তিন দিনের প্রসূতি হওয়ায় তিনি ঘর বের হতে পারেন নি। পরে রাগে-ক্ষোভে শাহজাহান ঘরে ঢুকে ১৭ মাসের কন্যাশিশু বীথিকে ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে পেটে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। দেড় ফুট লম্বা চাকুটি শিশুর পেটে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে শিশুটির নাড়িভুড়ি বেরিয়ে আসে। এ অবস্থায় বাড়ির লোকজন শিশুটিকে প্রথমে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

আতাউল করিম খোকন/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।