বিরামপুরের ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি (হিলি) দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ২৮ জুন ২০২৩

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের মুসল্লিরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। দুই জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বুধবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর মসজিদে এবং একই সময় আয়ড়া মাদরাসা মাঠে জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০ গ্রামের প্রায় দেড়শ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

খয়ের বাড়ি জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদরাসা মাঠে আল-আমিন জামাতের ইমামতি করেন।

সরেজমিনে উপজেলার আয়ড়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের গ্রাম থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে একত্রিত হচ্ছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে সাতটায় ওই এলাকার মাদরাসা মাঠে আল আমিনের ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।

সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।

ঈমাম দেলোয়র হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি এবং বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুইটি জামায়াতের ১৪০ জন মুসল্লি অংশ নেন।

মো. মাহাবুর রহমান/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।