কোটালীপাড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলা : প্রতিবাদে বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৬

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিরন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে কোটালীপাড়া মাঝবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্তারা জানান, বিকেলে গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া ঢাকায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদের সঙ্গে দেখা করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী এবাদুল হক মুন্সির লোকজন তার উপর হামলা করে। এতে তিনি ও তার ছেলে তানভীর আহমেদ শুভ সেখান থেকে কোনো রকম পালিয়ে জীবনে রক্ষা পান। এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দাবি করেন তারা।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন হিরন ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল দাড়িয়া, মুসা দাড়িয়া, স্থানীয় মুরুব্বী আবুল হোসেন দাড়িয়া, কোটালীপাড়া কলেজের সাবেক ভিপি এস এম কাইয়ুম, জিএস শামীম দাড়িয়া প্রমুখ।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিরন ইউনিয়নে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া ও বর্তমান চেয়ারম্যান এবাদুল হক মুন্সিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়।

 গত ৬ মার্চ যাচাই-বাছাইয়ে দুই প্রার্থীরই মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ৮ মার্চ ওই দুই প্রার্থী এ ব্যপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপিল করেন। সে অনুযায়ী ১০ মার্চ আপিল শুনানির তারিখ ধার্য হয় এবং শুনাীণতে দুইজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। রোববার দুই প্রার্থীই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আগামী বুধবার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত।

উল্লেখ্য, কোটালীপাড়ার হিরন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার ঘটনা জেলার সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। স্থানীয় নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও কাঁদা ছোড়াছড়ি এ পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে তুলছে বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ূন কবীর জানান, কোটালীপাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা। প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সকল নেতাকর্মীর সে বিষয়টি মেনে চলা উচিত।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, হিরন ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে কিছু কিছু মিডিয়া আমার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেননি ওইসব মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এতে বিষয়টি আরো জটিল হয়েছে। ওই  ইউনিয়নকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন কে, প্রার্থী হবেন না এ সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা না করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।

এস এম হুমায়ূন কবীর/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।