চলাফেরার রাস্তা বন্ধ, ভোগান্তিতে বৃদ্ধ দম্পতি
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বৃদ্ধ দম্পতির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক পরিবারের বিরুদ্ধে। এতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে পচা দুর্গন্ধযুক্ত পানি দিয়ে যাতায়াত করছেন ওই দম্পতি।
ভোগান্তির শিকার দম্পতি হলেন সদর উপজেলার ধানঘড়া এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ কায়কোবাদ মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক ও বেদনা বেগম। তাদের যাতায়াতের রাস্তা প্রায় তিন মাস আগে বন্ধ করে দিয়েছেন জমির মালিক নুরুল ইসলাম সরকার। এ নিয়ে ভুক্তভোগী মঞ্জুরুল ইসলাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঞ্জুরুল হক ও বেদনা বেগম দম্পতি ২০১৫ সালে নুরুল ইসলাম সরকারের কাছ থেকে জমি কেনেন। প্রায় ছয় বছর আগে ওই জমিতে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। জমি বিক্রির সময় জমির মালিক নিজের জমি দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা দেন। সেই রাস্তা দিয়ে ওই দম্পতি ছয় বছর ধরে যাতায়াত করে আসছেন। তিন মাস আগে জমির মালিক নুরুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। তখন থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন কায়কোবাদ ও তার স্ত্রী বেদনা বেগম। হাঁটুসমান পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই বৃদ্ধ দম্পতিকে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মঞ্জুরুল ইসলাম দম্পতির যাতায়াতের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় তারা অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। তারা সীমাহীন কষ্টে বসবাস করছেন। নিরুপায় হয়ে হাঁটুপানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বৃদ্ধা বেদনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ থাকায় যাতায়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে। অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বাজার ও ওষুধ নিতে দিনে ওই পচা পানির মধ্যে দিয়ে বারবার চলাচল করতে হয়।’

মঞ্জুরুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১৫ সালে জমিটি কিনে বসবাস করছি। হঠাৎ করে রাস্তা বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে আছি। থানায় অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।’
জমির মালিক নুরুল ইসলামের ছেলে রোমান সরকার রাস্তা বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা রাস্তা বন্ধ করিনি। বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা বন্ধ হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে তাদের যাতায়াতে কোনো সমস্যা হবে না।’
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শামীম সরকার শাহীন/এসআর/জেআইএম