যে বাজারের সব ক্রেতাই নারী

বাজারের নাম ‘ছাতিরচর’। এ বাজারে সব ক্রেতাই নারী। তাই স্থানীয়রা এ বাজারটিকে ‘মহিলা বাজার’ বলে থাকেন। সকাল থেকে বাজারে বিভিন্ন বয়সী নারীরা আসতে শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলীর হাওরে বেষ্টিত গ্রাম ছাতিরচর। এ একটি গ্রাম নিয়েই ইউনিয়ন। ২০০ বছর আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসে হাওরের মাঝে বসতি গড়ে তোলেন। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ হাওরে মাছ শিকার করেন। পুরুষরা হাওরে মাছ শিকারে ব্যস্ত থাকায় নারীরা সংসারে বাকি সব কাজ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে আসাদের মধ্যে প্রায়ই নারী। বাড়ির পুরুষরা মাছ ধরাসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় বাধ্য হয়ে নারীদের বাজারে আসতে হয়। এছাড়া নারীরা নাকি দরদাম করে বাজার করতে পারদর্শী এ তারা বাজারে আসেন।
বাজারে আফিয়া বেগম বলেন, এটা নারীদের বাজার। এখানে পুরুষরা কম আসে। নারীরা বাজার করলে সহজেই দরদাম করে কিনতে পারেন।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে বউ বাজারের কেনাকাটা
রাজিয়া খাতুন নামের আরেক নারী জানান, পুরুষেরা হাওরে জাল বাইতে যান। অনেকে ঢাকায় থাকেন। তাই বাধ্য হয়ে বাজারে আসতে হয়।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা আক্কাস জানান, ছাতিরচরে বেশির ভাগই নারী ক্রেতা। তবে দোকানদার সবাই পুরুষ। তাই কেউ কেউ এ বাজারকে মহিলা বাজার বলেও ডাকেন। বাজারটি সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে।
মাছ ব্যবসায়ী বাইতুল ইসলাম জানান, বাজারে সবসময়ই নারী ক্রেতাদের ভিড় থাকে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আসা লোকজনের ৮০ ভাগই নারী। পুরুষ লোক বাড়িতে কম থাকে হাওরে মাছ ধরতে বা কৃষি কাজে থাকে তাই মহিলারই বাজার করে।
ছাতিরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি আবুল মিয়া জানান, এ বাজারে নারীরা বেশি কেনাকাটা করেন। নিত্যপণ্য কেনার জন্য সকাল থেকে নারীরা বাজারে ভিড় করতে থাকেন।
ছাতিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শামসুজ্জামান চৌধুরী জানান, বাজারটির কোনো ইজারা নেই। চেয়ারম্যান হিসেবে আমিই বাজারটি দেখাশোনা করি। সকাল ৯টা থেকে বাজারটি জমে ওঠে। নারীরাই বেশিরভাগ বাজার করে নিয়ে যান। পুরুষরা কাজকর্মে বাইরে থাকেন বলে মহিলারাই বাজারে আসেন।
এসকে রাসেল/আরএইচ/জেআইএম