এক বোনকে দেখে আরেক বোনের প্রস্তুতি, দুজনই বিসিএস ক্যাডার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৬:১১ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২৩

বিসিএসে সাফল্য পেতে নানা প্রতিঘাত বাধা-বিপত্তি সহ্য করতে হয়। দিন, সপ্তাহ, মাস এমনকি বছরের পর বছর পরিশ্রম করতে হয়। এরপরেই আসে সাফল্য। আর সেই চেষ্টা পরিশ্রম বৃথা যায়নি একই মায়ের দুই সন্তান গুলে জান্নাত সুমি ও জান্নাতুন নাঈম খুশবুর। একসঙ্গে দুই বোন বিসিএস জয় করেছেন। এদের মধ্যে সুমি শিক্ষা ক্যাডারে আর ছোট বোন খুশবু কৃষি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।

দুই বোন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এয়াকুব মিয়া ও রুপিয়া বেগমের মেয়ে। গুলে জান্নাত সুমি ২০০৭ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০-১১ সেশনে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

অপরদিকে জান্নাতুন নাঈম খুশবু ২০১১ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫, ২০১৩ সালে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচসএসসি, ২০১৪-১৫ সেশনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে।

jagonews24

সুমি বলেন, আমার বড় বোন জাহানারা ফেরদৌসী সুইটি অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চাকরি করতেন। সবার থেকে আমি একটু রাগি। সবার মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে দূরে ভর্তি হই। তবে বাবা আমাকে অনেক উৎসাহ দিতেন। এছাড়া বড় বোন ও দুলাভাইও আমাকে সাপোর্ট করেছেন। ছোট বোন আমার পড়াশোনা দেখে উৎসাহ পায়। সেও আমার মত হতে চেষ্টা করে।

২০১৬ সালে প্রথম ৩৮তম বিসিএস দিয়ে সুমির বিসিএস যাত্রা শুরুর কথা জানিয়ে সুমি আরও বলেন, ৩৮তম বিসিএসে আশানুরূপ ফল না পেয়ে স্বপ্ন পূরণের জন্য পুনরায় নতুন উদ্যমে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেই। মূলত আমরা করনোর পুরো সময়টা কাজে লাগিয়েছি। দুইবোন একসঙ্গে পড়েছি। যাতে একজনের ভুল আরেকজন ধরিয়ে দিতে পারে। পুরো সময় ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে দুই বোন বিয়েও করিনি। আমাদের মধ্যে হতাশা ছিল কিন্তু কেউ কাউকে বুঝতে দেইনি। আমার মতে সুযোগ ও যোগ্যতা থাকলে সবারই চেষ্টা করা উচিত।

জান্নাতুন নাঈম খুশবু বলেন, দীর্ঘ সময়ের এ পথ চলায় পরিবার ও সহপাঠীদের সাপোর্ট পেয়েছি। আমি আর আমার বোন দুজনই টার্গেট রেখে পড়াশোনা করেছি। আমরা খুব শৃঙ্খলা এবং শিডিউল মেনে চলতাম। বেশি রাত জাগতাম না। আবার ভোরে ফজরের নামাজের পর শুরু করতাম।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। আর সেই সুযোগটাই আমরা নিয়েছি। পুরো সময়টা পড়াশোনার মধ্যে পার করেছি।

এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।